🌺ভগবান শিবের নিরাকার ও সাকার রূপ 🔱🌺🔱

📿🙏ভগবান শিবের নিরাকার ও সাকার রূপ📿🙏

👉-ভগবান শিব স্বয়ং তাঁর স্বরূপের কথা ভগবান ব্রহ্মা ও বিষ্ণুকে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন—

🫴‘আমার দুটি রূপ ‘সকল' এবং 'নিষ্কল' (নিরাকার)।

অন্য কারো এই প্রকার রূপ নেই। আমি । প্রথমে স্তম্ভ রূপে প্রকাশিত হই। তারপর সাক্ষাৎ নিজ রূপে। ‘ব্রহ্মভাব’ আমার ‘নিষ্কল’ রূপ আর ‘মহেশ্বর ভাব’ আমার ‘সকল’ রূপ। এই দুটিই আমার ‘সিদ্ধরূপ’। আমিই পরমব্রহ্ম পরমাত্মা।📿

কলাযুক্ত এবং কলাপূণ্য বা নির্গুণ আমার স্বরূপ। ব্রহ্মরূপ হওয়ায় আমিই ঈশ্বর। জীবের উপর অনুগ্রহ করা আমার কাজ। ব্রহ্মা ও কেশব! আমি সবচেয়ে বৃহৎ এবং জগতের বৃদ্ধিকারী হওয়ায় ব্রহ্ম বলে খ্যাত। সর্বত্র সমরূপে স্থিত ও ব্যাপক হওয়ায় আমিই সকলের আত্মা। স্বর্গ থেকে অনুগ্রহ পর্যন্ত জাগতিক পঞ্চকৃত্য সবই আমার অধীন, অন্য কারো নয়, কারণ আমিই সকলের ঈশ্বর।🔱

💮প্রথমে আমার ব্রহ্মরূপ বোধ করানোর জন্য ‘নিষ্কল’ লিঙ্গ প্রকটিত হয়েছিল; পরে অজ্ঞাত ঈশ্বরতত্ত্বের সাক্ষাৎ করানোর উদ্দেশ্যে আমি ‘সকল’ বা আকার সহিত তৎক্ষণাৎ প্রকাশমান হই। সুতরাং আমার মধ্যে ‘ঈশত্ব’ আছে, তাকেই আমার সকলরূপ বলে জানা উচিত। আর আমার এই নিষ্কল স্তম্ভ সেটি আমার ব্রহ্মস্বরূপ বোধকারী। এটি আমার লিঙ্গ এবং প্রতীক।” জাগতিক পঞ্চকৃত্য হচ্ছে—ক্রিয়া, জপ, তপ, জ্ঞান ও ধ্যান। ওঁ নমঃ শিবায়ঃ📿

মন্তব্য: শিবলিঙ্গ প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর এই অধ্যায়ে পাওয়া যাবে। আধুনিক যুগের বিদগ্ধ পণ্ডিত জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননকে ঈশ্বরের আকার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি তখন মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন—🙏

🔱“নরাকারং বদন্ত্যেকে নিরাজরাঞ্চ কেচন। বয়ম্ত দীর্ঘসম্বাদ নীরাকারাম্ উপাস্মনে।।” অর্থাৎ একদল ঈশ্বরকে সাকার বা নরাকার বলেন, কেউ কেউ নিরাকারও বলেন। কিন্তু আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বলতে পারি নিরাকারকেই উপাসনা করা শ্রেষ্ঠ। জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন ১৮০৭ > পরলোকে গমন করেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি শ্রীরামকৃষ্ণদেব সাকার ও নিরাকা মিলন ঘটিয়ে বলেন—'ব্রহ্মময়ী কালী’ ।🌺