Aadi Yogi

🌼✳️শ্রীসরস্বতী মন্ত্র✳️🌼 👉“ ওঁ হ্রীং শ্ৰীং এং হ্রীং শ্রীং এং বদ বদ বাম্বাদিনী ভগবতী সরস্বত্যৈ তুষ্টি পুষ্টি তুভ্যং নমঃ। ”👉 মা সরস্বতীর এক সাধকের দেওয়া এই মন্ত্র অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্র। শ্রীমহালক্ষ্মী মন্ত্রের মতন এই মন্ত্রও নিয়মিত নিষ্ঠার সঙ্গে জপ করলে মা সরস্বতী সাধকের জিহ্বায় বিরাজ করেন।

🪷🪷🪷 নাভিকমল দর্শন🪷🪷🪷 একবার স্বামী বিশুদ্ধানন্দ পরমহংস বাবা কাশীতে পুরাতন আশ্রমেতে হনুমান ঘাটে অবস্থান করার সময় সকাল প্রায় ৮টায় আমরা ৪/৫ জন উপস্থিত ছিলাম; আমাদের সৎসঙ্গ পৌরাণিক বিষয়ের উপর সীমাবদ্ধ ছিল এবং নানারূপ বাক্যালাপ চলার সময় একব্যক্তি বলিয়া উঠিলেন, —‘পুরাণেতে বহু অলৌকিক এবং অবিশ্বাস্য কথার উল্লেখ আছে যাহা কোন প্রকারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়, —যেমন দৃষ্টান্তস্বরূপ বিষ্ণুর  নাভি-কমল হইতে ব্রহ্মার উৎপত্তি, এসব কল্পনা ও রূপক ভিন্ন আর কিছুই নয়।' এই কথা বাবা শুনিয়া বলিয়া উঠিলেন, ‘যাহা বা যে বস্তু তোমাদের বুদ্ধির অগোচর বা তোমাদের জ্ঞানের বাহিরে, তাহাকে অস্বীকার করিও না। তোমাদের বা অনেকের জ্ঞানের বা দর্শনের বাহিরও অনেক বস্তু আছে।' পরন্তু সত্য বস্তু সত্যই থাকিয়া যায়; —নাভিকমল ছিল এবং তাহা এখনও আছে। ঐ ব্যক্তি বলিলেন—নাভি কমল আমি কখনও দেখি নাই বা কেহ দেখিয়াছে বলিয়াও শুনি নাই।’ ‘এমনকি বিজ্ঞানবিদ্‌ কোন ডাক্তারেরা ইহা কখনই স্বীকার করিবে না বা মানিবে না।' তখন বাবা কহিলেন, –‘তোমাদের ডাক্তার কতটুকু জানে? দেহতত্ত্ব অত্যন্ত গভীর। তাই, যদি তোমরা নাভি-কমল দেখিতে ই

🧘‍♂️শিব প্রণাম🧘‍♂️ নমস্তভ্যং বরূপাক্ষ নমস্তে দিব্য চক্ষুষে। নমঃ পিনাক হস্তায় বজ্র হস্তায় বৈ নমঃ।। নমত্রিশূল হস্তায় দণ্ডপাশাংসি পাৰ্ণয়ে। নমস্ত্ৰৈলোকানাথায় ভূতানাং পতয়ে নমঃ।। শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হেতবে। নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বংগতি পরমেশ্বরম্।। নমস্তে ত্বং মহাদেব লোকানাং গুরুমীশ্বরম্। পুংসাম পূর্ণ কামানাং কাম পুরামরাঙম্রিমাম্।। বঙ্গানুবাদ—প্রণাম মন্ত্র দেবভাষা সংস্কৃত ছাড়া হয় না; কিন্তু বাংলা ভাষায় ভক্তি ভরে প্রণাম করতে পারেন। আমি প্রণাম জানাই দিব্যচক্ষুষ্মান বিরূপাক্ষকে, পিনাকপানিকে, বজ্রহস্ত, ত্রিশূলধারীকে দণ্ডপাপ পরিধানকারীকে। আমি ত্রিলোকনাথ পঞ্চভূতের পতিকে প্রণাম করি। শান্ত, মঙ্গলময়, স্বতঃ রজঃতম তিন কারণের দেবতাকে প্রণাম জানাই। হে মহাদেব তুমি আমার মনষ্কামনা পূর্ণ করো।

🪷শিবরাত্রি ব্রত🪷 👉 ভগবান শিবতূল্য দেবতা নাই, অশ্বমেধের মতো যজ্ঞ নাই, তেমনি শিবরাত্রি তূল্য ব্রত নেই। শৈব, বৈষ্ণব, অন্য উপাসকদেরও শিবরাত্রি ব্রত পালন অবশ্য কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়। এই দিন মহানিশায় আদিদেব শিব লিঙ্গরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই দিনই শিব সমুদ্র মন্থন। জাত হলাহল পান করেছিলেন। বিষ প্রকোপে তাঁর কণ্ঠ নীলবর্ণ হয়ে যায়। তিনি অসুস্থ হয়ে। পড়েন। তখন আদ্যাশক্তি দেবী পার্বতীর স্তন্যপানে সুস্থ হন। পরে শক্তির সহযোগিতা ব্যতিরেকে শিব কর্মসাধনে অসমর্থ, পার্বতী এ রকম অহংকার প্রকাশ করলে শিব রাগে, অভিমানে কর্মত্যাগ করেন। ফলে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। অন্য দেবতাদের সাথে ভীত পার্বতী শিবের করে তাঁকে সন্তুষ্ট করেন। এ রকম ভাবনা থেকেও শিবরাত্রি ব্রতের উদ্ভব বলে মনে করা হয়ে। পূজা থাকে। মতান্তরে এক ব্যাধ শিবরাত্রির দিন সমস্ত দিনের শিকার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত্রি হওয়ায় এক বেলগাছের উপরে আশ্রয় নেন। সমস্তদিন তার খাওয়া হয়নি, চোখে ঘুমও ছিল না। এ অবস্থায় বেলগাছের কয়েকটি পাকা পাতা ও কয়েক বিন্দু শিশির তার গাত্র স্পর্শ করে নিম্নে অবস্থিত শিবলিঙ্গের উপর ঝরে পড়ে।

🙏🏵️রুদ্রাক্ষের প্রয়োজনীয়তা📿🏵️ 👉 আসলে রুদ্রাক্ষ একটি ফলের বীজ । কিন্তু এর অদ্ভুত গুণের জন্য আধ্যাত্মিক তথা ভৌতিক জগতে , এমনকি চিকিৎসা জগতেও এটি পরম পবিত্র ও কার্যকরী বলে স্বীকৃতি লাভ করেছে। 👉 এর কয়েকটি প্রজাতি আছে। এটি বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া যায়। প্রধানত জাভা, সুমাত্রা, বালী, ইন্দোনেশিয়া ও মালয় দেশে এটি উৎপন্ন হয়। নেপালেও এটি উৎপন্ন হয়। 👉 এর খুব অল্প সংখ্যক গাছ ভারতেও আছে। মহীশূর, দেরাদুন, মহারাষ্ট্র, আসাম এবং হিমালয়ের তরাই অঞ্চলে এর দেখা মেলে। ব্যবসার জন্য স্থানীয় মানুষ এর কাঁচা ফল পেড়ে তার বীজ বের করে বিক্রী করে। কিন্তু সাধনার দৃষ্টিতে পাকা ফলের বীজই অধিক উপকারী। 👉 রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের সর্বাধিক প্রিয়বস্তু । এইটি তাঁর এত প্রিয় যে এর. প্রতিটি দানায় শিবের অবস্থান। এই কারণে রুদ্রাক্ষকে লোকেরা শিবলিঙ্গের ন্যায় ভক্তিভরে পূজা করে। 👉রুদ্রাক্ষ ধারক ভৌতিক বা দৈবিক সকল বিপদ থেকে রক্ষা পায়। রুদ্রাক্ষের মালা সর্বশ্রেষ্ঠ মালা। এই মালা কণ্ঠে বা বাহুতে ধারণ করা হয়।  👉 বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানও স্বীকার করেছে যে

🪷🙏🪷শ্রীবিচিত্রবীর হনুমান স্তোত্র🪷🙏🪷 🫴✳️এই স্তোত্র আশ্চর্যজনক, অলৌকিক, শীঘ্র প্রভাবশালী, সর্বমনস্কামনাপূরক এবং সর্ববাধানিবারক ও শত্রুনাশক। “ওঁ হ্রীং নমো ভগবতে বিচিত্রবীর হনুমতে প্রলয় কালাবল প্রভা প্রজ্বলবায়, প্রতাপ বজ্র দেহায় অঞ্জনা গর্ভ সম্ভুতায়, প্রকট বীর দৈত্য দানব যক্ষরক্ষোগণ গ্রহ বন্ধনায়, ভূতগ্রহ বন্ধনায়, প্রেতগ্রহ বদনায়-পিশাচগ্রহ বন্ধনায়, , শাকিনী-ডাকিনী গ্রহ বন্ধনায়, কাকিনী গ্রহ বন্ধনায়, ব্রহ্ম গ্রহ বন্ধনায়, ব্রহ্ম রাক্ষস গ্রহ বন্ধনায়, চৌর গ্রহ বন্ধনায়,নারী গ্রহ বন্ধনায়,   এহি এহি আগচ্ছ আগচ্ছ, আবেশয়, আবেশয়, মম হৃদয়ে প্রবেশয়, প্রবেশয়, স্ফুর স্ফুর, প্রস্ফুর, প্রস্ফুর, সত্যং কথয়—ব্যাঘ্রমুখ বন্ধন, সর্পমুখ বন্ধন, রাজ মুখ বন্ধন, নারী মুখ বন্ধন, সভামুখ বন্ধন, শত্রুমুখ বন্ধন, সর্ব মুখ বন্ধন, লংকা প্রসাদ ভঞ্জন, অমুকং মে বশ মানয় ক্লীং ক্লীং ক্লীং শ্রীং শ্রীং রাজান বশমানয়। শ্রীং হীং ক্লীং স্ত্রীণাং আকর্ষয় আকর্ষয় শত্রুন মর্দয় মর্দয় মারয় মারয় চুরয় চুরয় খে খে শ্রী রামচন্দ্রাজ্ঞয়া মম কার্যসিদ্ধি কুরু ওঁ হ্ৰাং হ্রীং হুং হ্রে