🔱শিবরাত্রি ব্রত কথা 🔱

🪷শিবরাত্রি ব্রত🪷

👉 ভগবান শিবতূল্য দেবতা নাই, অশ্বমেধের মতো যজ্ঞ নাই, তেমনি শিবরাত্রি তূল্য ব্রত নেই। শৈব, বৈষ্ণব, অন্য উপাসকদেরও শিবরাত্রি ব্রত পালন অবশ্য কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়। এই দিন মহানিশায় আদিদেব শিব লিঙ্গরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই দিনই শিব সমুদ্র মন্থন। জাত হলাহল পান করেছিলেন। বিষ প্রকোপে তাঁর কণ্ঠ নীলবর্ণ হয়ে যায়। তিনি অসুস্থ হয়ে। পড়েন। তখন আদ্যাশক্তি দেবী পার্বতীর স্তন্যপানে সুস্থ হন। পরে শক্তির সহযোগিতা ব্যতিরেকে শিব কর্মসাধনে অসমর্থ, পার্বতী এ রকম অহংকার প্রকাশ করলে শিব রাগে, অভিমানে কর্মত্যাগ করেন। ফলে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। অন্য দেবতাদের সাথে ভীত পার্বতী শিবের করে তাঁকে সন্তুষ্ট করেন। এ রকম ভাবনা থেকেও শিবরাত্রি ব্রতের উদ্ভব বলে মনে করা হয়ে। পূজা

থাকে। মতান্তরে এক ব্যাধ শিবরাত্রির দিন সমস্ত দিনের শিকার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত্রি হওয়ায় এক বেলগাছের উপরে আশ্রয় নেন। সমস্তদিন তার খাওয়া হয়নি, চোখে ঘুমও ছিল না। এ অবস্থায় বেলগাছের কয়েকটি পাকা পাতা ও কয়েক বিন্দু শিশির তার গাত্র স্পর্শ করে নিম্নে অবস্থিত শিবলিঙ্গের উপর ঝরে পড়ে। তাতেই ভগবান শিব সন্তুষ্ট হন। ওই ব্যাধ তাঁর কৃপা লাভ করেন এবং সর্বপাপমুক্ত হন। মৃত্যুর পর তিনি শিবলোকে গমন করেন।🏵️

👉👉শিবরাত্রির দিন পুজোর চেয়ে উপবাসের গুরুত্ব বেশি। তবে রাত্রির চার প্রহরে চারবার পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম প্রহরে দুধ, দ্বিতীয় প্রহরে দধি, তৃতীয় প্রহরে ঘৃত এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দ্বারা শিবকে স্নান করানো হয়। পরদিন ব্রতের পারণের পর ব্রতীর দিবানিদ্রা নিষিদ্ধ। বলা হয়, ভগবান শিব নাকি নিদ্রিত ব্রতীর পদসেবা করে থাকেন। যা কখনোই গ্রহণ করা উচিত নয়। তাতে ব্রতের ফললাভ হয় না। উপরন্তু পাপের ভাগী হতে হয়।🪷🪷🪷

🔱ওঁ নমঃ শিবায়ঃ🔱